সর্বশেষ

১০ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অংশ নিতে অপরাগতা জানাবে 'আল হাইআ'তুল উলইয়া'

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'আগামী ১০ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাকা মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ পেলেও অংশগ্রহণ করতে অপারগতা জানাবে দেশের কওমি ধারার শিক্ষা বোর্ডগুলো। শনিবার (৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআ'তিল কওমিয়া'র বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।'

আগামীকাল রবিবার (৭ আগস্ট) বোর্ডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া আল হাইআ'র কয়েকজন সদস্য ২৪খবরবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের প্রেক্ষিতে বৈঠক করে আল হাইআ'তুল উলয়া লিল জামিআ'তিল কওমিয়া। ৪ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছরের ২৬, ২৭, ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে সংঘটিত ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন এবং হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মিজানুর রহমান চৌধুরীর ৮টি সুপারিশের বিষয়ে করণীয় নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১০ আগস্ট। আল হাইআ'র বৈঠকে অংশগ্রহণ করা একাধিক সিনিয়র আলেম২৪খবরবিডিকে বলেন, 'হেফাজতে ইসলাম একটি সংগঠন। আল হাইআ' একটি শিক্ষা বোর্ড। এই দুই বিষয়ে আলোচনার সম্পর্ক নিয়ে আলেমরা মতানৈক্য প্রকাশ করেছেন। প্রথমত, আল হাইআ'র সঙ্গে হেফাজতের কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত, মিজানুর রহমান চৌধুরী কওমি ঘরানার কেউ নন। তিনি কওমি মাদ্রাসায় পড়েছেন কিনা একজন আলেম এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। সে কারণে হেফাজতের একজন নেতার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার বিষয়ে কোনও সুপারিশের ভিত্তিতে আলোচনা হতে পারে না।'


-বৈঠকে অংশগ্রহণ করা একজন দায়িত্বশীল আলেম বলেন, মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরামর্শ নিয়ে কওমি শিক্ষা বোর্ডগুলোকে আলোচনায় ডাকার কোনও সুযোগ নেই। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার উন্নয়ন ও অবকাঠামো নিয়ে বোর্ড আছে। বোর্ডের দায়িত্বশীলরা এ বিষয়ে কাজ করবেন। আরেক সদস্য দাবি করেছেন, মিজানুর রহমান চৌধুরীর আরেক নাম দুলাল। তার পড়াশোনা, নব্বই দশকে তার রাজনৈতিক চর্চা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
 

এ বিষয়ে হেফাজতের নায়েবে আমির ও দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর বলেন, 'আমি যে চিঠি দিয়েছি সেটা আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে। আমি চিঠিতে দাবিও করিনি এটা হেফাজতের পক্ষ থেকে। আমি গত মাসেও হেফাজতের বৈঠকে এ বিষয়ে কথা বলেছি। কওমি মাদ্রাসার উন্নয়নে আমি কিছু প্রস্তাব করেছি। সেটি বাস্তবায়ন হলে কওমি মাদ্রাসার উন্নয়ন হবে। আমার ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থ নেই।' তিনি বলেন, 'আমি কওমি মাদ্রাসায় পড়িনি এটা সঠিক। তবে আমি একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করছি। সেই মাদ্রাসা নিবন্ধিত। এতদিন তো এ বিষয়ে কথা ওঠেনি। এখন কারা কী কারণে বির্তক তৈরি করতে চায়।'


'মিজানুর রহমান চৌধুরী তার সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠালেও আল হাইআ'র কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবগত নন। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারও উদ্যোগ হতে পারে। আল হাইআ'র বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও সদস্যই স্বনামে উদ্ধৃত হতে রাজি হননি।

১০ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অংশ নিতে অপরাগতা জানাবে 'আল হাইআ'তুল উলইয়া'

-বোর্ডের দায়িত্বশীলরা বলছেন, রবিবার দুপুরের দিকে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বোর্ডের অফিস সম্পাদক ওয়াছিউর রহমান ২৪খবরবিডিকে বলেন, 'আজকের সিদ্ধান্ত জানাতে বোর্ডের মানা আছে। রবিবার দুপুরে জানানো হবে।'

'জানতে চাইলে আল হাইআ'র সদস্য মুফতি ফয়জুল্লাহ ২৪খবরবিডিকে বলেন, 'তার (মিজানুর রহমান চৌধুরী) এই প্রচেষ্টা অনধিকার চর্চার মতো। বৈঠকে এ প্রচেষ্টার পক্ষে কেউ কথা বলেননি।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত